• Top Heart Healthy Tips..

    To help you keep it all straight – and understand the reasoning behind the recommendations – here are 10 simple rules for a heart healthy diet..

  • Perfect Fried Chicken Tips

    Fried chicken is, quite simply, a decadent delight. Once you learn how to fry chicken you can master the art of crunchy skin and moist, tender meat. Here our Test Kitchen Professionals show you four steps to perfectly fried chicken every time. Y... Read more >>

  • Do you want to earn free Bitcoins?

    Now before you quit your day job and start planning your next vacation, let’s just be clear: you won’t get wealthy overnight. It is not impossible to find some ancient secret that will show... Read more>>

  • What is Bitcoin Address? What is Bitcoin Wallet?

    GWhat is bitcoin wallet and bitcoin address? What is Bitcoin Wallet? বিটকয়েন অ্যাড্রেস কি? A Bitcoin Wallet contains all the information about user’s balance, transactions history, etc... Read more>>

  • What Is 2 (Two) Factor Authentication?

    What Is Two Factor Authentication? Often these passwords were less than ten characters, and at best were a word with a number, usually 01, on the end. Where it wasn’t 01, it was either the m... Read more >>

natural health background hd

natural health background HD


Share:

গর্ভপাতের জন্য ব্যবহার করা হত এই ১০ টি অমানবিক পদ্ধতি

পুরনো যুগে গর্ভপাতের – খুব ভাগ্যক্রমে আমরা পশু থেকে মানুষ হয়েছি। আর মানুষ হওয়ার পরেই আমরা আমাদের দুঃখ কষ্টের ব্যাপারে বুঝতে শিখেছি। এমনও সময় ছিল যখন এক মানুষ অপর এক মানুষকে পশু ভাবতো।
তখন কোন মহিলার গর্ভপাতও যদি করানো হত, মানুষ পশুত্বের মতন আনচরণ করতো। আমরা যদি সেই সমস্ত জিনিস নিজের চোখে দেখি তাহলে আমাদের আত্মা কেঁপে উঠবে। সব জিনিসই অমানবীক ভাবে আচরণ করা হত।
আমরা এর আগে পুরনো যুগে কিভাবে অমানবীয় ভাবে শাস্তি দেওয়া হতো সে বিষয়ে পড়েছি কিন্তু আজকে আমরা পরবো কিভাবে পুরনো যুগে অমানবীয়ভাবে গর্ভপাত করানো হতো।

ওই সময় এই সমস্ত অমানবীয় জিনিস জন্য ব্যবহার করা হতো কারণ সেই সময় কনডম বা গর্ভপাতের ওষুধ ব্যবহার করা কে অপরাধ মনে করা হতো। তাই তখন যদি কোন মহিলা আকস্মিক সন্তান সম্ভবা হয়ে ওঠে তাহলে তার গর্ভপাত করানোর জন্য এই সমস্ত অমানবীয় উপায় ব্যবহার করা হতো।
তাহলে দেরি কিসের। আসুন জানি সে সমস্ত অমানবীয় উপায়গুলি।
জোঁক এর ব্যবহার – সেই সময় গর্ভবতী মহিলাদের যোনির ভেতর জোঁক ছেড়ে দেওয়া হত। এটি সব থেকে কষ্টদায়ক এবং নির্মম প্রথা ছিল।
আফিম খাওয়ানো – আফিম, যেটা নেশা এবং ওষুধ বানানোর সময় ব্যবহার করা হয়, সেই সময়ে গর্ভপাত করানোর জন্য মহিলাদের আফিম খাওয়ানো হতো।
লাল মরিচ – পৃথিবীর সবথেকে ঝাল মরিচ আপনি যদি এই লঙ্কার সামান্য পরিমাণ স্বাদ গ্রহণ করেন তাহলে এই মরিচ এর ঝাল ভাব দীর্ঘকালীন সময় আপনার জীভেই রয়ে থাকবে। সেই সময় গর্ভপাতের জন্য এই মরিচই ব্যবহার করা হতো ।
সিঁড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া – সেই সময় গর্ভবতী মহিলাদের সিঁড়ি থেকে বহুবার ঠেলে ফেলে দেয়া হতো। আর এই কারণে বহু মহিলা সে সময় নিজের প্রাণ পর্যন্ত হারিয়েছে।
Tansy তেল – Tansy তেল একপ্রকার গাছের তেল। সেই সময়ে গর্ভপাত করানোর জন্য এই তেল ব্যবহার করা হতো। সেই সময় মহিলাদের এই তেল খাওয়ানো হতো। যার কারনে মহিলাদের ভিতরকার শরীর আস্তে আস্তে পচে যেতো।
Ergot খাওয়ানো – Ergot একপ্রকার ফাঙ্গাস। যেটি গমের মধ্যে পাওয়া যায়। সেই সময়ে গর্ভপাত করার জন্য গর্ভবতী মহিলাকে এই ফাঙ্গাস খাওয়ানো হতো। যার ফলে বহু মহিলার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
তারপিন তেল – সেই সময়ে তারপিন তেল গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ানো হতো। এর ফলে গর্ভবতী মহিলারা প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
ওয়াশিং পাউডার খাওয়ানো হতো – সেই সময় মহিলাদের গর্ভপাত করানোর জন্যও ওয়াশিং পাউডারও খাইয়ে দেওয়া হত।
পেটে আঘাত করা – সেই সময়ে গর্ভপাত করার জন্য গর্ভবতী মহিলার পেটে লাঠি বা অন্য কোন জিনিস দিয়ে বহুবার আঘাত করা হতো। আর এ কারণে মহিলার খুবই ব্যথা পেত।
ফুটন্ত গরম জলে স্নান করানো – সেই সময় গর্ভবতী মহিলার পেটে অবস্থিত বাচ্চাকে মারার জন্য ফুটন্ত টকবক গরম জলে মহিলাদের স্নান করানো হতো। যার ফলে মহিলাদের গায়ের চামড়া পুড়ে যেত।
তাহলে আজ দেখলেন যে পুরনো যুগে কত অন্ধবিশ্বাসকে মানা হতো এবং মহিলাদের উপর কিভাবে অত্যাচার করা হতো শুধুমাত্র গর্ভপাতের নাম করে।
আপনারা কেউই ভুল করে এটির মধ্যে একটিও নিজের জীবনে ব্যবহার করে দেখবেন না। কারণ এটি পুরোপুরি অন্ধবিশ্বাস এবং যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক ।
Share:

দাঁত দিয়ে নখ কাটা(ওনিকোফ্যাজিয়া) অভ্যাসগত সমস্যা নাকি অন্য কোন কারণ?

দাঁত দিয়ে নখ কাটা বিশ্বব্যাপী মানুষের এক সাধারণ অভ্যাস। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতেই মূলত মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কাটে। যখন বিরক্ত বোধ করি, তখন এটা আমাদের স্বস্তি দেয়। একইভাবে ক্লান্ত বা হাতাশার সময়েও সাময়িকভাবে আমাদের শান্ত করে। একটা মানসিক প্রশান্তি দেয়, এটা একটা মানসিক বিশ্বাস, আর কিছুই নয় বলেই বদভ্যাস জেনেও একজন মানুষ তার মনের অজান্তে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও করেই চলে এটি l 

গবেষণালব্ধ ফল বলে যে, যাদের অনিকোফাজিয়া অথবা এ ধরনের অভ্যাস রয়েছে, তারা বিষণ্ণ, বিরক্ত, উদ্বিগ্ন অবস্থায় দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। আর অস্বাভাবিক আকৃতির নখ স্বস্তির অনুভূতি দেয়। কেবল মানুষই নয়। কিছু কিছু প্রাণীরও এমন অভ্যাস রয়েছে। বিড়ালকে দেখা যায়, দিনের বেশ খানিকটা সময় তার শরীর চেটে পরিষ্কার করতে এবং দিনের একটা দীর্ঘ সময় ঘোড়া তার শরীর কামড়াতেই থাকে। মানুষ এবং প্রাণীদের এই আচরণকে কোনোভাবেই ‘অবসেসিভ’ বলা যাবে না।
দাঁত দিয়ে নখ কাটাকে চিকিত্সা ভাষায় বলা হয় ‘ওনিকোফ্যাজিয়া’। শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘ওনিকো’ এবং ‘ফ্যাজিয়া’ শব্দ দুটোর মিলনে তৈরি। আর ‘ওনিকো’ এসেছে ‘ওনিক্স’ থেকে, যার অর্থ আঙুল এবং ‘ফ্যাজিয়া’ অর্থ খাওয়া।সাধারণত শিশু বয়সে কিংবা যে বয়সে শিশুরা স্কুলে যায়, সে বয়স থেকে শুরু হয় দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস। বদ অভ্যাস হিসেবে প্রথমে এর শুরু হলেও ভবিষ্যতে এটি তার নিত্যদিনের আচরণে পরিণত হয়, যা বিভিন্ন ধরনের মন্দ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অনেক সময় আবার রাগ, হতাশা, ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা দূর করতেই মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কামড়ে থাকে।পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, দাঁত দিয়ে যারা নখ কাটে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের অবচেতন মন থেকে এ কাজটি করে। হয়তো টিভি দেখার সময় কিংবা গভীর চিন্তার সময় এ কাজটা মনের অজান্তেই করে ফেলে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য বদ অভ্যাস হিসেবে প্রথমে এর শুরু হলেও ভবিষ্যতে এটি তার নিত্যদিনের আচরণে পরিণত হয়, যা বিভিন্ন ধরনের মন্দ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। 
সতর্কীকরণ :
 এই বদভ্যাস দূর করার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মা-বাবার সহযোগিতা। তাদের নখ সময় মতো ট্রিম করে দিন।আর বড়দের বেলায় এ অভ্যাস দূর করা তো আরো সহজ। বড়দের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই স্ট্রেস দূর করতে হবে। ছেলেরা হাতে সবসময় পরতে পারেন একটা রাবারব্যান্ড। যখনই নখ কামড়ানোর জন্য হাত চলে যাবে মুখে সঙ্গে সঙ্গে সেই রাবারব্যান্ড টেনে ছেড়ে দেবেন। এভাবেই একটু একটু করে লাগতে লাগতে নখ কামড়ানোর অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।এছাড়া মেয়ে হলে পার্লারে গিয়ে সুন্দর করে নেইল ওয়ার্ক করিয়ে আসতে পারেন। আলগা নখও লাগাতে পারেন। এতে নিজের সুন্দর নখ নষ্ট হয়ে যাবে এ বোধটা অনেক ক্ষেত্রে নখ কামড়ানো থেকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া হাতে কিছু দিন  তিতো করলার রস লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে হাত মুখে দেয়া মাত্র তিতো স্বাদের কারণে এর থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া টিভি দেখা বা পড়াশোনার সময় যদি একটা স্কুইজ বল হাতে নিয়ে স্কুইজ করতে থাকেন তাহলে হাত আর মুখে যাবে না। এছাড়া চুইংগামও চেবাতে পারেন।
Share:

আপনার কি নখ কামড়ানোর অভ্যাস আছে?

অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নখ কামড়াতে থাকেন। আর যতক্ষণে স্টক ফুরোয়, ততক্ষণে নখের হাল বেহাল। শুধু কি তাই, শরীরেরও একাধিক ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো নখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করে এত মাত্রায় ক্ষতি করে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পরে।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, নখ কামড়িয়ে খেলে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীরে জটিল সংক্রমণ দানা বাঁধার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই আপনিও যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আর অপেক্ষা না করে জেনে নিন নখ খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পরে।

মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে : বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নখ কামড়ানোর সময় হাতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মুখগহ্বরে প্রবেশ করে। ফলে একদিকে যেমন মুখের ভেতর সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে।
দাঁতের ক্ষতি হয় : দীর্ঘদিন ধরে নখ কামড়ালে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দাঁতের অবস্থানেও পরিবর্তন হয়। এমন অভ্যাসের কারণে দাঁত বেঁকে যায়। ফলে খাবার খাওয়ার সময় সমস্যা হতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে মাড়িতে সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে : নখের মধ্যে প্রতিদিনই হাজারো ব্যাকটেরিয়া নিজেদের ঘর বানিয়ে চলেছে। আর এইসব ব্যাকটেরিয়াদের নখ থেকে বার করা মোটও সহজ কাজ নয়। সাবান দিয়ে ভালো করে হাত এবং নখ ধোয়ার পরেও এরা নখের ভিতরে থেকে যায়। ফলে যে মুহূর্তে নখ কামড়াতে শুরু করেন, এই জীবাণুগুলি মুখ দিয়ে শরীরে চলে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনসহ একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
নখের সৌন্দর্য কমে যায় : যারা হাতের নখ কামড়ায়, দেখবেন তাদের নখগুলি এতটাই ছোট হয়ে যায় যে কেমন বাজে দেখতে লাগে। এতে যে শুধু নখের সৌন্দর্য হ্রাস পায়, তা নয়। সেই সঙ্গে সার্বিক হাতের সৌন্দর্যতাও কমে যেতে শুরু করে।
চিরদিনের মতো নখ হারিয়ে ফেলতে পারেন : বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘদিন ধরে নখ কামড়ালে “নেল বেড” এত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে পুনরায় নখ বেড়ে ওঠে না। ফলে ধীরে ধীরে আঙুলে নখই থাকে না। আর এমনটা হলে হাতের সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না।
নখের সংক্রমণ : নখ কামড়ানোর সময় আঙুলের এই অংশে ছোট ছোট আঘাত লাগতে থাকে। ফলে নখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া এইসব ক্ষতস্থানের মধ্যে দিয়ে রক্তে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়। আর একবার যদি এমনটা হয়ে যায়, তাহলে নখের সংক্রমণ, এমনকী রক্তের সংক্রমণ হওয়ার অশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। রক্ত শরীরের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছে যায়। তাই ব্লাড ইনফেরশন শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। ঠিক সময়ে যদি রক্তকে পুনরায় জীবাণুমুক্ত করা না যায়, তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে পারে।
জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে : নখ খেলে সংক্রমণসহ একাধিক রোগের আশঙ্কা বাড়বে। আর একবার যদি এই সব রোগের কোনওটা শরীরে বাসা বেঁধে বসলে ব্যথা-যন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে। যে অভ্যাস দৈনন্দিন জীবনকে খারাপ করে দেয়, সে অভ্যাস ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে কী হতে পারে, সে বিষয়ে তো এখন জেনেই নিয়েছেন।
ভাইরাল ইনফেকশন : বারে বারে নখ খেলে ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ এর প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। এই ভাইরাস একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ঠিক সময়ে এই সংক্রমণকে আটকাতে না পারলে সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
Share:

নখ কামড়ানো একটি বদ অভ্যাস

নখ কামড়ানো’র সমস্যাটি একইসাথে যেমন খুবই পরিচিত তেমনই অস্বাস্থ্যকর। একদম অল্প বয়সী শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক অনেকেরই নখ কামড়ানোর সমস্যাটি থাকে। নখ কামড়ানোর সমস্যা শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা তৈরি করে তাই কিন্তু নয়। কর্নেল ইউনিভার্সিটি’র ওয়েইল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজ এর এসিস্টেন্ট প্রফেসর অফ ডার্মাটলজিষ্ট ডা. শারী লিপনের বলেন, “শুধুমাত্র জীবাণুই মূখ্য ব্যাপার নয়। নখ কামড়ানোর ফলে ক্ষতিকর দিকগুলো হল-

ক) নখের পাশে স্থায়ীভাবে কালো-বাদামী দাগ পড়ে যায়।
খ) এছাড়াও অতিরিক্ত নখ কামড়ানোর ফলে নখের স্বাভাবিক আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়।
গ)  দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে নখ ফুলে যাওয়া সহ নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে থাকে।“
যে কারণে নখ কামড়ানোর বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য মেনিকিউর এক্সপার্ট মিস পপ এবং ডেবরাহ লিপম্যান  তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু দারুণ আইডিয়া শেয়ার করেছেন।
১/ ফিজেট স্পিনার হাতে রাখা  
ডেবরাহ লিপম্যান বিখ্যাত ম্যনিকিউর এক্সপার্ট বলেন – “কোন বস্তু দ্বারা খুব সহজেই কিছু অভ্যাসকে কৌশলে বাদ দেওয়া সম্ভব,” । এমনকি একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে ‘অবজেক্ট ম্যানিপুলেশন’ নখ কামড়ানোর অভ্যাসকে বাদ দেওয়ার জন্য খুব ভালো কাজ করে থাকে। ফিজেট স্পিনার হাতকে ব্যস্ত রাখতে সাহায্য করে বলে যারা নখ কামড়ান তাদের সেই অভ্যাসটি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।শিশুদের জন্য এই পদ্ধতি খুবি উপযোগী ।
২/ অ্যান্টি-নেইল বাইটিং টপকোট ব্যবহার করা
নেইল ইন্ডাস্ট্রি বহু বছর ধরেই চেষ্টা করছে নখ কামড়ানোর অভ্যাস বাদ দেবার জন্য কোন বিশেষ ধরণের পণ্য তৈরি করার। তারই সূত্র ধরে তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যান্টি-নেইল বাইটিং টপকোট। এই টপকোট অথবা নেইলপলিশের স্বাদ অনেক কড়া কিংবা তেতো হয়ে থাকে। ট্রায়াল থেকেই দেখা গেছে যে এটি নখ কামড়ানোর অভ্যাস পরিত্যাগের ক্ষেত্রে অনেকখানি সাহায্য করছে বলে জানান ডেবরাহ লিপম্যান ।
৩/ হাতের আঙ্গুলে ভ্যাসেলিন ব্যবহার করা
অনেক বেশি নখ কামড়ানোর ফলে হাতের আঙ্গুল অনেক শুকিয়ে যায়। কারণ নখ কামড়ানোর ফলে নখে মুখের লালা লেগে যায়। যার ফলে সেটা শুকিয়ে হাতের আঙ্গুলের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে নখের আশেপাশের অংশের চামড়া শুকিয়ে উঠে আসে এবং নখ কামড়ানোর প্রবণতা বাড়তে থাকে। সেক্ষেত্রে হাতের আঙ্গুলের কোমলতা ঠিক রাখার জন্য এবং নখ কামড়ানোর অভ্যাস কমিয়ে আনার জন্য হাতের আঙ্গুলে এবং নখে খুব ভালোভাবে ভ্যাসলিন দিয়ে মালিশ করতে হবে।
৪/ হাতের কাছে এবং ব্যাগে সবসময় ‘নেইল ফাইল’ রাখা
মিস পপ বলেন, “বেশীরভাগ সময় নখ কামড়ানোর মূল কারণ থাকে, নখ কামড়িয়ে তুলে ফেলার পর বাকী নখ অসমান থাকা! সেই অসমান নখকে সমান করার জন্য আরো বেশী করে নখ কাটা হয়। আর একবার যদি এই প্রক্রিয়া শুরু হয় তবে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয় না।”
তাই এই বিরক্তিকর সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে হাতের কাছে অথবা ব্যাগে সবসময় ‘নেইল ফাইল’ রাখা। যখন হাতের কোন নখকে অসমান বলে মনে হবে ভুলে নখ কামড়ানো শুরু করা যাবে না। তখন নেইল ফাইল দিয়ে খুব সুন্দরভাবে নখকে সমান করে নিতে হবে।
৫/ নেইল আর্ট করে রাখা
শুনে হয়ত অবাক হতে হবে, অনেক মেনিকিউরিষ্টের অতীতে নখ কামড়ানোর মতো বিরক্তিকর অভ্যাস ছিল! মিস পপের এই অভ্যাস ছিল বলে তিনি নিজেই আবিষ্কার করেন নিজের নখে অনেক সুন্দর করে নেইল আর্ট করে রাখলে নখ কামড়ানোর প্রবণতা অনেক কমে যায়। নখের উপরে বিভিন্ন প্যাটার্নের ডিজাইন করার মাধ্যমে শুধুমাত্র যে নখকে দেখতে সুন্দর লাগে সেটাই নয়, এতে করে ক্রিয়েটিভিটিও প্রকাশ পায়। এর সাথে মিস পপ আরো যোগ করেন, নেইল আর্টের মাধ্যমে নখ কামড়ানোর অভ্যাস দূর করতে এবং নেইল আর্টের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে তার মাত্র ছয় সপ্তাহ সময় লেগেছিল!
৬/ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে
নিজের এই বদ অভ্যাস নিয়ে যদি আপনি চিন্তিত থাকেন এবং এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে চান তবে অবশ্যই উপরোক্ত উপায়গুলো থেকে যেকোন পদ্ধতি মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। যদি সেটাতেও তেমন কোন কাজ না হয় তবে মেন্টাল হেলথ কেয়ার অথবা কোন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে। একজন ডার্মাটলজিষ্ট এর সাথে দেখা করাটা জরুরি কারণ তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় হাতের নখে কোন ধরণের ইনফেকশনের সমস্যা হয়েছে কিনা!
এছাড়াও, মেডিক্যাল প্রফেশনালরা নখ কামড়ানোর অভ্যাস বাদ দেওয়ার জন্য এমন কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন যা এই অভ্যাস দূর করার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে থাকে।
মনে রাখতে হবে, নখ কামড়ানোর মতো অভ্যাসটি মোটেও কোন ভালো অভ্যাস নয়। এই অভ্যাসটি বাদ দেওয়া কঠিন হলে অসম্ভব নয় মোটেও। সেক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা শক্তিও থাকতে হবে।
Share:

ঘরেই নারীরা যে ভাবে ধর্ষিত হচ্ছেন !!

বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের প্রায় ৩০% নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। তাদের প্রকাশিত একটি প্রকাশনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বিবাহিত নারীরা এ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী জানিয়েছেন, স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক না করলে স্বামী কিছু করে কি না, সে ভয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হন তারা। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে।

নারী নির্যাতন নিয়ে প্রথমবারের মতো ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ শীর্ষক এই জরিপ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। এই জরিপে বলতে গেলে প্রায় অপ্রকাশ্য এ ধরনের যৌন নির্যাতনের চিত্রটি প্রকাশ পেয়েছে। গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপটি প্রকাশ করা হয়।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ২০১১ সালের ১৯ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতন বলতে স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা, স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে শারীরিক সম্পর্কে সম্মত হওয়া, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও স্ত্রীকে এমন কিছু করতে বাধ্য করা যা স্ত্রী করতে চান না অথবা এতে অপমানিত বোধ করেন অথবা অন্যান্য যৌন নির্যাতনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে ১২ হাজারের বেশি নারী তথ্য দিয়েছেন।

স্বামীর মাধ্যমে যে যৌন নির্যাতন হয়, সেটিকে ‘নির্যাতন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (২০০০, সংশোধিত ২০০৩) বিবাহিত নারীদের যে যৌন অধিকার আছে বা স্ত্রীর অমতে স্বামী যে কোনো ধরনের যৌন আচরণ করতে পারেন না, সে বিষয়টির স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

এ আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ বিবাহবন্ধনের বাইরে ১৬ বছরের অধিক বয়সী কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তা ধর্ষণ হবে। অর্থাত্, এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টিকে আমলে নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে একই আইন বলছে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো নারীর সঙ্গে সম্মতি বা সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। দেশের বিদ্যমান বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে হলে তা বাল্যবিবাহ বলে বিবেচিত হবে। এ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বিয়েটা বৈধ হবে। বিয়ে বৈধ হলে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অধিকারপ্রাপ্ত হন। তাই তখন স্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বিষয়টি গৌণ হয়ে যায়।

তবে ২০১০ সালের পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এ আইনেও বিষয়টিকে সেভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। আইনে যৌন প্রকৃতির এমন আচরণ যা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সম্ভ্রম, সম্মান বা সুনামের ক্ষতি করে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ আইনে শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা শরীরের কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এবং বলপ্রয়োগের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই বিবাহিত নারীদের এ আইন ব্যবহারের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন আইন এবং আইনটির প্রচার কম থাকায় যৌন অধিকারের বিষয়ে আইনি সুরক্ষা নেওয়ার নজির নেই।

বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের প্রায় ৩০ ভাগ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। তাদের প্রকাশিত একটি প্রকাশনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বিবাহিত নারীরা এ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী জানিয়েছেন, স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক না করলে স্বামী কিছু করে কি না, সে ভয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হন তারা। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে।

নারী নির্যাতন নিয়ে প্রথমবারের মতো ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ শীর্ষক এই জরিপ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। এই জরিপে বলতে গেলে প্রায় অপ্রকাশ্য এ ধরনের যৌন নির্যাতনের চিত্রটি প্রকাশ পেয়েছে। গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপটি প্রকাশ করা হয়।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ২০১১ সালের ১৯ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতন বলতে স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা, স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে শারীরিক সম্পর্কে সম্মত হওয়া, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও স্ত্রীকে এমন কিছু করতে বাধ্য করা যা স্ত্রী করতে চান না অথবা এতে অপমানিত বোধ করেন অথবা অন্যান্য যৌন নির্যাতনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে ১২ হাজারের বেশি নারী তথ্য দিয়েছেন।

স্বামীর মাধ্যমে যে যৌন নির্যাতন হয়, সেটিকে ‘নির্যাতন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (২০০০, সংশোধিত ২০০৩) বিবাহিত নারীদের যে যৌন অধিকার আছে বা স্ত্রীর অমতে স্বামী যে কোনো ধরনের যৌন আচরণ করতে পারেন না, সে বিষয়টির স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

এ আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ বিবাহবন্ধনের বাইরে ১৬ বছরের অধিক বয়সী কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তা ধর্ষণ হবে। অর্থাত্, এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টিকে আমলে নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে একই আইন বলছে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো নারীর সঙ্গে সম্মতি বা সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। দেশের বিদ্যমান বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে হলে তা বাল্যবিবাহ বলে বিবেচিত হবে। এ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বিয়েটা বৈধ হবে। বিয়ে বৈধ হলে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অধিকারপ্রাপ্ত হন। তাই তখন স্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বিষয়টি গৌণ হয়ে যায়।

তবে ২০১০ সালের পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এ আইনেও বিষয়টিকে সেভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। আইনে যৌন প্রকৃতির এমন আচরণ যা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সম্ভ্রম, সম্মান বা সুনামের ক্ষতি করে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ আইনে শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা শরীরের কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এবং বলপ্রয়োগের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই বিবাহিত নারীদের এ আইন ব্যবহারের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন আইন এবং আইনটির প্রচার কম থাকায় যৌন অধিকারের বিষয়ে আইনি সুরক্ষা নেওয়ার নজির নেই। (তথ্য সুত্র :- প্রথম সংবাদ) 
Share:

পুরুষের শুক্রাণুকে দুরন্ত গতি দেয় গাজর

পুরুষের শুক্রাণুকে গতি দিতে গাজরেরও রয়েছে অসাধারণ ভুমিকা। গতিময় জীবনে আপনার শুক্রাণুই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুক্রাণুকে কি উসেইন বোল্টের গতি দিতে চান? তাহলে অবশ্যই বেশি করে গাজর খান। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সব্জী সুস্থ সবল শুক্রাণু তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা দাবি করেছেন গাজর একাই ডিম্বাণুর দিকে শুক্রাণুর গতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। গাজরের সঙ্গে লেটুস, পালংও বাড়িয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর গতি।
 
গাজর, লেটুস, পালংয়ের মত সব্জীতে বিটা-ক্যারোটিন নামের এক জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে। গবেষকদের মতে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ডিম্বাণু অভিমুখে শুক্রাণুর গতি ৬.৫% থেকে ৮% বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, টম্যাটোর মধ্যে লাইকোপেন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। টম্যাটোর লাল রংয়ের জন্য দায়ি এই প্রোটিন। লাইকোপেন অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণুর উৎপন্নকে প্রতিহত করে। 
Share:

যে খাবারগুলি দম্পতিদের যৌন শক্তি বাড়ায় ও যৌবন ধরে রাখে

আপনি জানেন কি ? বিবাহিত জীবনে যৌনতায় ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবার দাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ মানুষ তাদের যৌন শক্তি লাভ করে থাকে তাদের খাবার দাবার থেকেই। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন। অথচ প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। কিন্তু যৌন স্বাস্থ্যে সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যৌন সমস্যা নিয়ে লজ্জায় কেউ আলোচনা করে না। যার ফলে মনে নানা প্রকার কুসংস্কার লুকিয়ে থাকার দরুন অনেকই চিকিত্সা নিতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

কারণ আমাদের আশেপাশে তথাকথিত হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী ভুয়া যৌন ডাক্তারদের অভাব নেই। দেখা যায়, সাধারণ মানুষজনই তাদের খপ্পরে বেশি পড়ে থাকে আর যৌন শক্তি আগে যতটুকু ছিল তাদের চিকিত্সা নিতে নিতে একসময় সেটাও হারাতে বসে। ভাল ভাবে শুনে রাখুন - প্রকৃত কোন সমস্যা না থাকলে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। 

প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না - প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে যৌন স্বাস্থ্য সমস্যার অনেক সমাধান। প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে এলেই স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন লাভ করবেন খুব সহজেই। আসুন জেনে নেই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এমন কিছু খাবারের কথা।

ডিম :- ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

মধু :- আবু নাঈম হযরত আয়েশা (রায়িঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল­াম এর নিকট মধু খুব বেশী প্রিয় ছিল। আল্লাহর রাসুলের(স.) নিকট মধু এ জন্য বেশী প্রিয়ছিল যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ নিরাময় রয়েছে। মধুর রয়েছে  অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী। মধু হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল গবেষকগণ একত্রিত হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলেও কখনো বানাতে পারবে কিনা এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এটা শুধু মহান আল্লাহ পাকেরই শান যে, তিনি বান্দার জন্য এমন উত্তম ও বিশেষ উপকারী নির্যাস সৃষ্টি করে দিয়েছেন।

দুধ :- যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। আবু নাঈম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি।) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (স.) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল। এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য সৃষ্টি করে, চেহারা লাল বর্ণকরে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।

বাদাম ও বিভিন্ন বীজ :- কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চিনি ছাড়া চা :-  প্রতিদিন দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা ব্রেইন কে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত দিন থেকে ৫ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ চা খেলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।

রঙিন ফল :- যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

রসুন :- ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহ.) "জামউল জাওয়ামে" নামক গ্রন্থে দায়লামী থেকে একটি বর্ণনা উদৃত করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন খাও এবং তদ্দারা চিকিতসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়। রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, প্রস্রাব  স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়।

তৈলাক্ত মাছ :- তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পালং শাক ও অন্যান্য সবজি :- পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক,ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।
Share:

ফেসবুকের (Facebook) মাধ্যমে তরুনদের বিপদগ্রস্থ করছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী

ফেসবুকের (Facebook) মাধ্যমে দেশের তরুনদের যৌনরোগী বানিয়ে তুলছে এক শ্রেনীর অসাধু মানুষ। ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ খুলে সেখানে ঢাকায় তরুণ-তরুণীদের যৌনব্যবসার প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে - এটা এখন রীতিমত একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। আগ্রহীদের গোপনীয়তারও শতভাগ নিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে। তবে এটি প্রতারক চক্রের কৌশল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ফেসবুকে এমন অনেক পেজে প্রচার করা হচ্ছে, "আপু /ভাইয়া/ভাবি অ্যান্টি আছেন যারা মনে মনে রিয়েল সেক্স করতে চান ? টাকা আয় করতে চান কিন্তু লজ্জায় বিশ্বাস/নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার অভাবে তা করতে পারছেন না ? তাদের বলছি তারা আমাদের ইনবক্স করুন আর কথা দিচ্ছি আপনার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ১০০ ভাগ নিশ্চিত করবো।" ফেসবুক পেজটিতে বিভিন্ন সুন্দরী তরুণীর ছবি দেয়া আছে, যেগুলোতে মুখের অংশ ঢেকে দেয়া হয়েছে। 

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে "নিশিকন্যা" হিসেবে পরিচিত প্রতারক চক্র শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে প্রায়ই অনেকের টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতির শিকার অনেকে লজ্জায় বিষয়টি চেপে যায়। ফেসবুকেও যৌন ব্যবসার কথা বলে একটি চক্র প্রতারণার সুযোগ খোঁজে বলে অনেকে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন। তাদের ভাষ্য, যৌন ব্যবসার কথা বলে প্রতারক চক্রটি যুবক-যুবতীদের ডেকে নিয়ে নিজেদের খপ্পরে ফেলতে পারে। আমাদের সম্মানিত "বাংলা সেক্স হেলথ.কম" এর পাঠকবৃন্দ যারা আছেন তারা অবশ্যই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন আশা করি।

ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজে আজ বাংলাদেশেও ফোন বা skype সেক্স করার জন্য আবেদন করছে বিকৃত আর দুশ্চরিত্রের কিছু লম্পট, যারা নানা প্রকার কুরুচিপূর্ণ কথা এবং ছবি দিয়ে কোমলমতি তরুণদের আকৃষ্ট করে থাকে। আমাদের ফ্যান পেইজে করা তেমনি এক লম্পটের একটি কমেন্ট স্ক্রিন শট নিচে দেয়া হলো :

এই সংক্রান্ত কমেন্ট বা লিংক দেয়া প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকবেন। জেনে রাখবেন এই গুলি নকল ফেইসবুক ID. আর এই গুলি করে থাকে সমাজের নিকৃষ্ট শ্রেনীর আর দুশ্চরিত্রের কিছু লোক । কখনো তারা মেয়ে সেজে ফেইসবুক ID তৈরী করে আবার কখনো বা নষ্টা চরিত্রের কিছু মেয়েদের দিয়ে এই কাজগুলি করিয়ে থাকে। যুবকদের প্রতারিত করাই তাদের পেশা। আশা করি এদের থেকে সাবধান থাকবেন।

তাছাড়া আজকাল ফেইসবুকে এই রকম বিজ্ঞাপন হরহামেশায়েই দেখা যায় যে , তথা কথিত স্বআবিস্কৃত হারবাল বা ভেষজ  তেল, ওয়েটমেন্ট, মেডিসিন  বা বিদেশ থেকে আমদানিকৃত  ঔষধ, মালিশ ইত্যাদির সাহায্যে পুরুষের লিঙ্গ বড় এবং মোটা করা হয়। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন থেকেও সাবধান থাকবেন। জেনে রাখবেন, মেডিকেল সাইন্স এখন পর্যন্ত  পুরুষের স্বাভাবিক লিঙ্গ বড় করার ঔষধ তৈরী করতে সমর্থ হয়নি। কিন্তু এক শ্রেনীর প্রতারক পুরুষদের দুর্বল মানসিকতার সুযোগ নিয়ে  পুরুষের লিঙ্গ বড় করার বিজ্ঞাপন দিয়ে কোমলমতি যুবকদের খুব সহজেই প্রতারিত করে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে । আশা করি বিষয়টি সুচিন্তিত দৃষ্টিতে দেখবেন এবং চিন্তা করবেন। 

যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি সবিনয় আরজ :- বিষয়টি দিন দিন নানা সমস্যা সংকুল আমাদের এই ছোট্ট দেশে কোমলমতি তরুনদের ভয়াবহ বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের সংশ্লিষ্ট আইন বিভাগের সম্মানিত সাইবার টিমের প্রতি সবিনয় অনুরোধ ............ মেহেরবাণী করে অন্তত আপনাদের নিজেদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত অথবা দেশের কথা চিন্তা করে বিষয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দিন।
Share:

চুমুতে মুখের মধ্যে প্রবেশ করে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া

চুমুতে ভালবাসা বাড়ে, ভালবাসা ছড়ায় জানাছিল, কিন্তু চুমুর মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার আদানপ্রদান হয় তা কি জানা আছে? নতুন এক গবেষণা বলছে মাত্র ১০ সেকেন্ডের গভীর চুমুতে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া একজনের লালার সঙ্গে অন্যজনের মুখে প্রবেশ করে। যে যুগল দিনে যতবার বেশি চুমু খায় তাদের মুখের মধ্যের মাইক্রোব্যাকটেরিয়ার তত বেশি মিল থাকে।

নেদারল্যান্ডের অরগানাইগেশন ফর অ্যাপলায়েড সায়েন্টিফিক রিসার্চের গবেষক রেমকো কোর্ট আমস্টারডামের মাইক্রোপিয়া (পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোবসদের মিউজিয়াম)-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২১ জনের যুগলের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে চুমু খাওয়ার সময় তাদের আচরণ, কত ঘন ঘন তারা চুমু খান এই সব প্রশ্ন সহ একটি তালিকা পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল এই ৪২জনকে। এরপর প্রতি যুগলের যে কোনও একজনকে বেছে নিয়ে বিশেষ একধরণের ব্যাকটেরিয়া ভর্তি প্রোবায়োটিক পানীয় খেতে দেওয়া হয়েছিল।

এরপর তাদের সঙ্গি বা সঙ্গিনীকে ঘন চুমু খেতে বলা হয়। একবারের ঘন চুমুর পর দেখা গেছে যিনি ওই পানীয় খাননি তার মুখের লালার মধ্যে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার (ক্ষতিকারক নয় এমন ব্যাকটেরিয়া)সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হিসাব করে দেখা গেছে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে একজনের মুখ থেকে অন্যজনের মুখে কমবেশি ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করেছে।

কোর্ট জানিয়েছেন তাঁদের এই পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে যে যুগল যত ঘন ঘন নিবিড় চুমু খান তাদের লালার মাইক্রোবায়োটা (ব্যাকটেরিয়া বসতি) একই রকম হয়। গড়ে দিনে অন্তত ৯ বার চুমু খেলে মুখের মাইক্রোবায়োটা একই রকম হয়ে যায়।

মানুষের শরীরে গড়ে ১০০ ট্রিলিয়ন উপকারী মাইক্রোঅরগানিসম থাকে। এই মাইক্রোঅরগানিসম খাবারের পাচন, পুষ্টি সংশ্লেষ ও রোগপ্রতিরোধে অপরিহার্য। মুখের মধ্যে কমবেশী ৭০০ ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে।
Share:

মাসিকের সময় ব্যথা হলে কী করবেন?

ঘরের সবচেয়ে ছোট সদস্য, মাধ্যমিক পড়ুয়া চঞ্চল বোনটি হঠাৎ করেই যেন বড় হয়ে যাচ্ছে। মাসের নির্দিষ্ট একটি সময়ে সে বেশ গম্ভীর ও মনমরা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝেই সে ব্যথায় চিৎকার করে কাঁদে। আপনার মা যতই এই ব্যথাকে মাথা ব্যথা বা জ্বর বলে এড়িয়ে যান না কেন, আপনি ভালভাবেই বুঝতে পারেন আপনার বোনটি মাসিকের সময় ব্যথা হলে এভাবেই কষ্ট পায়।

মাসিকের সময় তলপেট, কোমর, উরু, পিঠ এসব স্থানে ব্যথা অনুভূত হয়। মাঝে মাঝে এই ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। এই ধরনের কিছু কিছু লক্ষণ কোন ভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। তাই রাখঢাক না করে মাসিকের সময় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
মাসিকের সময় ব্যথা কী?
মাসিক চলাকালীন সময়ে বা মাসিক শুরু হওয়ার আগে তলপেট, মেরুদন্ড ও পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা খুব তীব্র না হলেও কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে খুব বেশি ব্যথা হতে পারে। এমনকি ব্যথার ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে।
এন্ডোমেট্রিয়োসিস (endometriosis) বা ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েডস (uterine fibroids) এর কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কোনো সুনিদির্ষ্ট কারণে এই ব্যথা না হলে সময়ের সাথে সাথে, বিশেষ করে একবার সন্তান প্রসবের পর এই ব্যথা অনেক কমে আসে। মাসিকের সময় যে ব্যথা হয়ে থাকে তা মেনোর‍্যালজিয়া (Menorrhalgia), মেন্সট্রুয়াল ক্রাম্পস (Menstrual cramps) এবং ডিসমেনোরিয়া (Dysmenorrhea) নামে পরিচিত।
মাসিকের সময় ব্যথা হওয়ার কী কী কারণ থাকতে পারে?
নিম্নলিখিত কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
  • ইডিওপ্যাথিক পেইনফুল মেন্সট্রুয়েশন বা অজানা কারণে মাসিকের সময় ব্যথা।
  • ইডিওপ্যাথিক এক্সেসিভ মেন্সট্রুয়েশন বা অজানা কারণে স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশী দিন মাসিক হওয়া।
  • ওভারিয়ান সিস্ট।
  • অনিয়মিত মাসিক চক্র।
  • এনডোমেট্রিয়সিস।
  • ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড।
  • ভলভোডাইনিয়া।
  • যোনিপথে সিস্ট।
কোন কোন বিষয়গুলো মাসিকের সময় ব্যথা হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে?
যেসকল ক্ষেত্রে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো-
  • যেসব মহিলার বয়স ৩০ বছরের নিচে।
  • যাদের মাসিক ১১ বছর বা তার আগে শুরু হয়েছে।
  • মাসিকের সময় রক্তপাত বেশি হলে।
  • মাসিক অনিয়মিত হলে।
  • পরিবারের অন্য কারো এ সমস্যা থাকলে।
  • পূর্বে কখনো সন্তান প্রসব না করলে।
  • ধূমপানের কারণে।
প্রত্যেক মেয়েরই কী এ সমস্যা হয়ে থাকে?
না, প্রত্যেকেরই মাসিকের সময় ব্যথা হয় না। তবে অধিকাংশ মেয়েরই মাসিকের সময় মেরুদন্ড ও তলপেটে ব্যথা ও টান অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তি বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হিটিং প্যাড ব্যবহারের মাধ্যমে বা হালকা গরম পানিতে গোসল করলে এক্ষেত্রে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। আবার হালকা ব্যায়ামও করা যেতে পারে।
মাসিকের সময় ব্যথা হওয়ার কোন পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?
নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে-
  • টানা তিন মাস পর্যন্ত এ ব্যথা স্থায়ী হলে।
  • তলপেটে খিঁচুনি/টানের সাথে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব দেখা দিলে।
  • মাসিকের সময় ছাড়াও তলপেটে ব্যথা হলে।
  • আই-ইউ-ডি প্রতিস্থাপনের পর ব্যথা হলে।
এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে করণীয় কী?
মাসিকের সময় ব্যথা হলে বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমনঃ
  • পিঠ ও পেল্ভিক অংশে হিটিং প্যাড বা হট ওয়াটার ব্যাগের সাহায্যে সেঁক দিতে হবে।
  • তলপেটে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
  • গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
  • প্রতিবার টয়লেটে গিয়ে সাধারণ পানির পরিবর্তে উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন। এতে আপনার তলপেটের ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে।
  • শরবত বা ফলের রস পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম ও অনুশীলন করতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
  • বিভিন্ন রিলাক্সেশন টেকনিক যেমনঃ যোগব্যায়াম করতে হবে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
Share:

Facebook

Popular Posts

Popular Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.